Online Business কি?
ধরো তোমার একটা জামা কাপড়ের দোকান আছে বা কোন কিছুর দোকান আছে । এখন তুমি সেটা অনলাইনে মাধ্যমে বিক্রয় করলে তাই হবে অনলাইন বিজনেস। আর এখন অনলাইন বিজনেস এতটা চলছে যা বলার বাইরে। কারণ আমরা এখন সারাক্ষণ বিভিন্ন প্রযুক্তি নিয়ে ঘাটাঘাটি করি যেমন facebook , instagram, youtube, google ইত্যাদি এখন এমন কোন মানুষ নাই যারা ফেসবুক ইউজ করে না । প্রায় প্রতিটা মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে তাই ফেসবুক বা অন্য কোন ওয়েবসাইটে একটা অনলাইন বিজনেস শুরু করলে খুব সহজে একটা সুন্দর বিজনেস দাঁড় করাতে পারবেন । তাহলে চলেন এবার দেখে নি অনলাইন বিজনেস কিভাবে শুরু করব।
অনলাইন বিজনেস কিভাবে শুরু করব ?
বিজনেস শুরু করার আগে সবার আগে যেটা দরকার সেটা হলো আত্মবিশ্বাস । মানে আমি করবো , আমি পারবো।তারপর আমাদের যেটা দরকার সেটা হলো প্রডাক্ট চয়েস । প্রোডাক্ট চয়েস একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আমাদের দেখতে হবে মানুষের কোন জিনিসের প্রতি চাহিদা আছে। কোন জিনিসটা অনলাইনে দেখে তারপর তারা সেটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করবে। তাদের রুচি চাহিদা সব দিক খেয়াল করতে হবে। তারপর দেখতে হবে তোমার প্রতিযোগী। কারণ অনলাইনে অসংখ্য মানুষ বিজনেস করে । সবাই বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট সেল করেন তার মধ্য থেকে তোমার সঠিক প্রোডাক্টটা চয়েস করতে হবে। আবার এমন প্রোডাক্ট চয়েজ করবে না যেটা করতে তোমার একদম ভালো লাগে না। যেটা তুমি করতে পারবা যেটা করতে তোমার ভালো লাগবে এমন সব দিক বিবেচনা করে প্রোডাক্ট চয়েজ করতে হবে ।তাহলে আমাদের প্রোডাক্ট এর বিষয়টা আশা করি বুঝতে পেরেছি ।এবার তাহলে প্রশ্ন আসে এই প্রোডাক্টটা অনলাইনে কিভাবে সেল করব?
অনলাইনে কিভাবে প্রোডাক্ট সেল করব?
অনলাইনে সেল করতে চাইলে তোমাকে একটা পেজ খুলতে হবে। পেজ খোলা তেমন কঠিন কিছু না। পেজ কিভাবে খুলবে সেটা নিয়ে পরে একটা আর্টিকেল লিখব তার আগে আমরা মূল বিষয়গুলো দেখে আসি। এখন পেজ খুলতে গেলে বিভিন্ন দিক খেয়াল রাখতে হবে। সর্বপ্রথম পেজের নাম দিতে হবে ।সুন্দর একটা নাম দিতে হবে তারপর পেজ টি সাজাতে হবে ।কারণ ডেকোরেশনটা সবার প্রথমে চোখে পড়ে তাই সুন্দর একটা প্রোফাইল পিক দিতে হবে। যেকোন একটা পিক দিলে হবে না ।তুমি যে প্রোডাক্ট সিলেক্ট করবে সেই প্রোডাক্টের একটা সুন্দর পিক সিলেক্ট করে দেবে। তারপর দেখতে হবে তোমার প্রোডাক্টটা কাদের জন্য ।কারা ইউজ করবে কাদের এই প্রোডাক্টটা প্রয়োজন । কারা তোমার প্রোডাক্টটা কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে। সেই সব কথা ভেবে তারপর তুমি কোন বয়সের মানুষের কাছে দেবে বা কোন বয়সে মানুষ তোমার প্রোডাক্টগুলো সিলেক্ট করবে। সে দিক খেয়াল রাখতে হবে।
মনে কর তুমি শাট বিক্রি করবে ।এখন দেখতে হবে কারা বেশি শার্ট পরে। বেশিরভাগ চাকরিজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টরা শার্ট পরে। এখন তুমি তাদের টার্গেট করবে দেখবে তোমার শার্ট খুব ভালো বিক্রয় হবে। এখন বিষয় হলো তোমরা এই প্রোডাক্টটি তাদের কাছে কিভাবে পৌঁছাবে। তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য তোমাকে ফেসবুকে যে পেজ খুলবে সেখানে তোমার পোস্টটা বোস্ট করতে হবে ।মানে অ্যাড পাঠাতে হবে মানুষের কাছে যাতে তারা তোমার প্রোডাক্টগুলো দেখতে পাবে। আর এই অ্যাড চালাতে তোমার একটা
প্রিপেইড কার্ড লাগবে। একটা পোস্ট বুস্ট করতে গেলে অনলাইনে পেমেন্ট করা লাগে তার জন্য এই কার্ডটি প্রয়োজন। এখন ভাবছো এই কার্ডটি কিভাবে পাবে কোথায় পাবে ।যে কোন একটা ব্যাংকে গেলে তোমার কার্ডটা পেয়ে যাবে তার জন্য তোমার অবশ্যই পাসপোর্ট থাকা লাগবে। এখন অনেকের কাছে পাসপোর্ট নাও থাকতে পারে তার জন্য যার কাছে পাসপোর্ট থাকবে তার থেকে সাহায্য নিতে পারো বা তুমি একটা তোমার নিজের পাসপোর্ট করতে পারো ।বা যাদের কার্ড আছে তার থেকে তোমার পেজে বোস্ট করে নিতে পারো।
তাহলে বন্ধুরা আশা করি তোমরা অনলাইন বিজনেস কিভাবে শুরু করব সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছো। আশা করি তোমরা এখন অনলাইনে বিজনেসটা খুব সহজে করতে পারবে। তো আর দেরি না করে চলো নিজেরা একটা বিজনেস খুলে ফেলি। ধন্যবাদ সবাইকে।😊